দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : সালটা তখন ২০০৯, দ্বিতীয়বারের UPA সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর মনমোহন সিংয়ের সরকারে রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেল লাইনের মাঝে আদিবাসী গ্রামের মানুষদের সুবিধার্থে তৈরি করিয়েছিলেন 'বিরসা মুন্ডা হল্ট' রেল স্টেশন। কিন্তু তারপর ২০১৪ সালে দেশের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি সরকার। আর তারপরেই দিনে দিনে বন্ধ হয়েছে জঙ্গলের মাঝের এই হল্ট স্টেশন, একটু একটু করে ভেঙে পড়েছে স্টেশন বিল্ডিং, কমেছে মানুষের যাতায়াত, ট্রেন আর থামেনি 'বিরসা মুন্ডা হল্ট' স্টেশনে।
বিজেপি সরকারের আমল শুরু হওয়ার পরেই দিনে দিনে বন্ধ হয়েছে এই স্টেশন। স্টেশন চত্ত্বরে জনসমাগম একদম না থাকায় সেখানে বেড়েছে সমাজবিরোধী মানুষের উৎপাত, বেলা হলেই সেখানে বসে মদ, গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদকের আসর। স্টেশন দিনে দিনে হয়েছে মাদক আড্ডায়। আর এখন এই এলাকার মানুষদের ট্রেন ধরতে যেতে হয় ১৫ কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর স্টেশনে কিম্বা ১০ কিলোমিটার দূরে গোকুলনগর স্টেশনে। কিন্তু ঘরের সামনে স্টেশন থাকতে কেন এত দুর্ভোগ? বিজেপি আমলে কেন বন্ধ হয়েছে এই হল্ট স্টেশন? বাংলার প্রতি গেরুয়া শিবিরের কেন এত অনীহা? এই প্রশ্ন নিয়ে স্টেশনের সামনে বসে আন্দোলনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্চিতা বিদ। দাবি একটাই, আবার এই 'বিরসা মুন্ডা হল্ট' স্টেশন চালু করতে হবে, আবার এই স্টেশনে থামতে হবে ট্রেন, কমাতে হবে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ।
পাশাপাশি, তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল এলে এই স্টেশন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী অর্চিতা বিদ সমস্যা সমাধান এর আশ্বাস দেন ।
অভিযোগ কেন্দ্র সরকার বিজেপির বিরুদ্ধে, তবে এই বিষয়ে মূল্য খুলতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। এই স্টেশনের ব্যাপারে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তৃণমূল প্রার্থী অর্চিতা বিদের এই বিক্ষোভকে 'নাটক' বলে কটাক্ষ করেন ।